পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া এভারেস্ট। এ চূড়ায় আহরণ করা অত্যন্ত সাহসী ব্যাপার। যে কেউ ইচ্ছা করলেই এখানে আরোহণ করতে পারেন না। এ জন্য অর্থ, মানসিক সাহস, সময় সবই লাগে। দীর্ঘদিন কঠোর প্রশিক্ষণও নেওয়া লাগে। আর এভারেস্ট বিজয় মানে দুঃসাহসী ও রোমাঞ্চকর ব্যাপার। এভারেস্ট জয় নিয়ে সেই ছোটকাল থেকে আমরা কমবেশি পড়ে আসছি। এ চূড়া সম্পর্কে যত পড়ি ততই যেন জানতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীর নানান দেশের অনেক পর্বতারোহী এভারেস্ট চূড়া জয় করেছেন আমাদের দেশেরও দুজন (মুসা ইব্রাহিম, এম এ মুহিত) এভারেস্ট জয় করেছেন। তারা দুজনই আমাদের দেশকে বিশ্বব্যাপী নতুন এক পরিচিতি দিয়েছেন। প্রশ্ন জাগতে পারে, শুধু কী পুরুষরাই এভারেস্ট জয় করেছেন? না, আমাদের দেশের এভারেস্ট জয়ী দুজনই পুরুষ হলেও অন্য দেশের মানুষগুলোর মধ্যে কিন্তু নারীরাও আছেন।
সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হলো এক আরব নারীর নাম। তার নাম সুজানা আল হুবি। বয়স ৪০ বছর। প্রথম আরব নারী হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন। দুই সন্তানের জননী সুজানা। তিনি ফিলিস্তিনের নাগরিক হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন। প্রথম আরব নারী হিসেবে সুজানা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে পারাটা বিশেষ এক অর্জন এবং ব্যাপক আনন্দের বিষয়। তিনি বলেন, স্বপ্ন পূরণের ওই বিশেষ মুহূর্ত আমি কখনো ভুলব না। এ বিজয় পুরো আরব জাতির বিজয়। আমার এভারেস্ট বিজয়কে বিশেষ করে নারীদের প্রতি উৎসর্গ করছি। এর মাধ্যমে আরব নারীরা আরও দুঃসাহসী কাজ করতে সাহস খুঁজে পাবেন। সুজানা আল হুবি ২১ মে সকালে এভারেস্টের চূড়ায় পেঁৗছান। এ পর্যন্ত পেঁৗছতে তার সময় লাগে ৫১ দিন। প্রায় দুই বছর পর্বতে উঠার প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে সুজানা এভারেস্ট জয় করলেন। গত শনিবার সুজানা নিজেই এক বিবৃতিতে এ খবর জানান। বিশ্বের প্রথম এভারেস্ট জয়ী নারী হলেন জানকো তাবেই। জানকো ১৯৭৫ সালের ১৬ মে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন। মাত্র ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে জাপানি নারী জানকো জয় করেছিলেন এভারেস্ট। এবার দেখারপালা আমাদের দেশের কোনো নারী এভারেস্ট জয় করতে পারেন কিনা!
ইন্টারনেট অবলম্বনে
0 comments:
Post a Comment