বিজিবির জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালপুর কোম্পানির কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাড়িঁর সদস্যদের সাথে গারো পাহাড়ে চোরাকারবারিদের সাথে ৩১ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গুলি বিনিময় হয়েছে। গুলিবিদ্ধ নুরু মিয়া (৪৫) নিখোঁজ রয়েছে। নুরু মিয়ার বয়োবৃদ্ধ মা জহুরা নুরু মিয়ার লাশ চেয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাচঁমেঘাদল গ্রামের নুরু মিয়া (৪৫) ৩১ মে ঘটনার দিন দুপুরে চোরাকারবারি শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে রাতে ফেরার পথে দালসিকোনা পাহাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এর পর থেকেই নুরু মিয়া নিখোঁজ রয়েছে। নুরুর পরিবারে শোকের মাতাম বিরাজ করছে। নুরুর একমাত্র ছেলে রফিক জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বাবাকে দেখতে চাই। কিন্ত বিজিবির বাধার কারনে বাবাকে দেখতে পায়নি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলের মাটিতে প্রচুর রক্ত দেখতে পেয়েছি। নুরুর মা জহুরা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার সন্তানের লাশ ফেরত চাই।
এই ঘটনায় বিজিবির জামালপুরের ৬ ব্যাটেলিয়ানের মেজর নাহিদুজ্জামান নাহিদ ১ জুন বুধবার দুপুরে কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাড়ির ভেতরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৩১ মে মঙ্গলবার রাতে বকশীগঞ্জের কামালপুর কোম্পানির বিজিবির সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ভূ-খন্ডে দালসিকোনা পাহাড়ের ১০৮৯ ও ১০৯০ সীমানা পিলার এলাকায় উৎপেতে থাকে। ওই সময় রাত অনুমান ১০টার সময় ৫০/৬০জন চোরাকারবারিকে দেখে বিজিবি ধাওয়া করে। তখন চোরাকারবারিরা বিজিবির সদস্যদের উপর স্বশস্্র্র হামলা চালায়। হামলার জবাবে আত্তরক্ষার্থে বিজিবি ফাকাঁ গুলি করতে বাধ্য হয়। পরে চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলে বিজিবি ৫৬ বস্তা ভারতীয় সুপারি,৪ বস্তা আদা ও ২টি চামড়া উদ্ধার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে মেজর নাহিদ বলেন গুলিতে কোন লোক হতাহত হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে কামালপুর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল বারী সহ অন্যান্য বিজিপি ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
সরওয়ার জামান রতন
0 comments:
Post a Comment