রোলার কোস্টার বর্তমানে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও মডার্ন থিম পার্কে রোলার কোস্টার রাইডের অন্তর্ভুক্তি বিনোদনের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এটি একটি বিশেষ ধরনের বাহন যা বিশেষ ধরনের রেলপথে চলে। বিশেষ ধরনের নকশা অনুযায়ী বানানো এই পথ দিয়ে কোস্টারগুলো অনেক উপরের দিকে ওঠে এবং নিচে নামে। অনেক সময় এই কোস্টারটি ৩৬০০ পর্যন্ত ঘুরে যেতে পারে। রাশিয়ান আইস ¯াইড থেকে রোলার কোস্টারের ধারণার উদ্ভব ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়। রোলার কোস্টার যেভাবে কাজ করে রোলার কোস্টারগুলোর পরিকল্পনা করা হয়
ভরবেগ, মধ্যাকর্ষণ এবং কেন্দ্রাভিমুখী শক্তির নীতি মেনে । প্রথমে ধীরে ধীরে কোস্টারটি উপরের দিকে উঠতে থাকে। এই সময় এটি স্থিতিশক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। রোলার কোস্টারের সঙ্গে কোনও ইঞ্জিন থাকে না। সাধারণত বাহ্যিক কোনও শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এটিকে ওপরের দিকে তোলা হতে থাকে। নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওঠার পর এটি ঢালু পথে নিচের দিকে ছেড়ে দেয়া হয়। গড়িয়ে নামার সময় কোস্টারের স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তির টানেই এটি একবার উঁচু একবার নিচু পথ ধরে ছুটতে থাকে। প্রথম লিফট হিলের চূড়ায় (১), কোস্টারে সবচেয়ে বেশি স্থিতিশক্তি থাকে কারণ ট্রেনটি এ সময় যত বেশি সম্ভব উপরে ওঠে যায়। এ সময় ট্রেনটি যখন নিচে নামতে থাকে, স্থিতিশক্তি তখন গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়Ñ ফলে ট্রেনটির গতি বাড়তে থাকে। আর এই লিফট হিলের একেবারে নিচে (২), ট্রেনের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ গতিশক্তি এবং খুব সামান্য স্থিতিশক্তি থাকে। এই গতিশক্তিই ট্রেনটিকে দ্বিতীয় চূড়ায় ঠেলে নিয়ে যায় এবং (৩), স্থিতিশক্তি মাত্রা গড়ে তোলে। ট্রেনটি একের পর এক বাঁকে ঢোকার ফলে (৪), এতে প্রচুর পরিমাণ গতিশক্তি ও খুব সামান্য স্থিতিশক্তি থাকে। ট্রেনটি বাঁকের চূড়ায় উঠে গিয়ে এই স্থিতিশক্তি মাত্রা গড়ে তোলে (৫), কিন্তু ট্রেনটি এই বাঁক ছেড়ে যাওয়ার সময় এই শক্তি দ্রুতই গতিশক্তিতে পরিণত হয় (৬)। কখনও কখনও কোস্টারটি ৩৬০০ পর্যন্ত ঘুরে যায় কিন্তু এতে কোনও আরোহীর নিচে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এটি ঘটে কেন্দ্রাভিমুখী বলের কারণে। ব্যাপারটিকে সহজেই পরীক্ষা করে দেখা যায়। হাতে এক গাস পানি নিয়ে সেটিকে যদি দ্রুত বৃত্তাকার পথে ঘুরিয়ে আনা যায়, তাহলেও কিন্তু গাস থেকে এক ফোঁটা পানিও ছিটকে পড়ে না।
0 comments:
Post a Comment