2009 শ্রেষ্ঠ ছবি মনপুরা : সেরা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও ফেরদৌস অভিনেত্রী পপি





মনপুরা ২০০৯ সালের শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন যৌথভাবে মনপুরা চলচ্চিত্রের চঞ্চল চৌধুরী ও গঙ্গাযাত্রার ফেরদৌস। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন গঙ্গাযাত্রার সাদিকা পারভিন পপি। বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তথ্য সচিব হেদায়েতুলাহ আল মামুন ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা পাবেন একটি করে রেপিকা, পদক, সনদপত্র ও নগদ অর্থ। ২০০৯ সালে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন অভিনেত্রী সুলতানা জামান। তিনি রেপিকা ও পদক ছাড়াও পাবেন নগদ এক লাখ টাকা। সংবাদ সম্মেলন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ জানান, চারদলীয় জোট সরকারের পাঁচ বছরে কোন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে একবারে চার বছরের পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর দেশে সুস্থধারার ভালো ছবি নির্মিত হয়নি। মাঝখানে কয়েক বছর চলচ্চিত্র অঙ্গনে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছিল। বর্তমান সরকার ভালো ছবি করার জন্য নির্মাতাদের অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ করে শিশু চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী মনপুরার চিত্রনাট্য লিখে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হয়েছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবিটি প্রযোজনা করে শ্রেষ্ঠ প্রযোজকের পুরস্কার পেয়েছেন অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। মনপুরায় অভিনয় করে চঞ্চল চৌধুরী পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ খলনায়কের পুরস্কার পেয়েছেন মনপুরার মামুনুর রশীদ। এই ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে চন্দনা মজুমদার ও কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। গঙ্গাযাত্রা ছবিটি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠ পরিচালক মনোনীত হয়েছেন গঙ্গাযাত্রা চলচ্চিত্রের পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। একই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারও হয়েছেন তিনি। গঙ্গাযাত্রায় অভিনয় করে চঞ্চলের সঙ্গে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন ফেরদৌস। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সাদিকা পারভিন পপি। একই চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান ও শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন যথাক্রমে মোঃ কলমতর, খলিলুর রহমান ও দিলীপ সিং। স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। একই ছবিতে গানের সুর করার জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কারটিও পাচ্ছেন তিনি। শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পেয়েছেন স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা ছবির গীতিকার কবির বকুল। মন বসে না পড়ার টেবিলে অভিনয় করে প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার। এবাদত ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন আলম খান। আমার প্রাণের প্রিয়া ছবিতে নৃত্য পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক মনোনীত হয়েছেন তানজিল। বৃত্তের বাইরে ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন শহীদুল ইসলাম সাচ্চু। চাঁদের মতো বউ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন নিপুণ। শিশুশিল্পী হিসেবে শ্রেষ্ঠ হয়েছে গঙ্গাযাত্রার সৈয়দা অহিদা সাবরীন। এ শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন প্রিয়তমেষু চলচ্চিত্রের পল্টু চরিত্রের অভিনেতা জারকান। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা চাঁদের মতো বউ চলচ্চিত্রের মুজতবা সউদ। শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদকের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন যথাক্রমে বৃত্তের বাইরে চলচ্চিত্রের মাহফুজুর রহমান খান, সুজন মাহমুদ ও জুনায়েদ হালিম।


0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More