
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাধীনতার সর্বোচ্চ সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার বঙ্গভবনে ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষে এ সম্মাননা হাতে নিয়ে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, এ সম্মাননা শুধু ইন্দিরা গান্ধীর একার নয়, এ সম্মাননা সমগ্র ভারতবাসীর। রাষ্ট্রপতি জিলুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে সোনিয়া গান্ধীর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
স্বাধীনতার সর্বোচ্চ সম্মাননা হাতে সোনিয়া গান্ধী কিছুটা আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষ থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করতে পারায় তিনি গর্বিত। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত! হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর সঙ্গে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেয়া যেত! আজকের এ সময়টি এমনই একটি মুহূর্ত।
সোনিয়া গান্ধী বলেন, ইন্দিরা গান্ধী যদি আজ আমাদের মাঝে থাকতেন, তবে এ সম্মাননা পেয়ে তিনি নিশ্চয় পুলকিত হতেন। এ সম্মাননা তাকে আবার আমাদের মধ্যে এনে দিয়েছে। নিজের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, বাংলাদেশে আসার অর্থ শুধু একটি দেশ সফরে আসা নয়, এটি একটি অন্যরকম অনুভূতি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে যখন দিলিতে যাত্রাবিরতি করেছিলেন, তখন তাকে স্বাগত জানাতে স্বামী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তিনি নিজেও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান সোনিয়া গান্ধী। বঙ্গবন্ধু তার সদ্য স্বাধীন দেশে যাওয়ার পথে দিলিতে স্বাগত জানানোর সে মুহূর্তটি আজও ভারতের নেতাদের কাছে স্মরণীয়, যা কখনোই ভোলার নয়। সেই সময়ের এসব অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগাল্পুত হয়ে পড়েন। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সোনিয়া গান্ধী।
ইন্দিরা গান্ধীকে সম্মাননা দেয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে দিলি আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। তিনি বলেন, এ সম্মাননা ইন্দিরা গান্ধীর একার নয়, উভয় দেশের জন্য সম্মানীয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন, নেতৃত্ব, দুঃসাহস ও আÍত্যাগের কথা স্মরণ করে তার প্রতিও শ্রদ্ধা জানান সোনিয়া গান্ধী।
0 comments:
Post a Comment