পর্যাপ্ত কক্ষ ও সিট না থাকায় বকশীগঞ্জ খাতেমুন মইন মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রীরা রাতের বেলা হোষ্টেলে পালাক্রমে গাদগাদি করে ঘুমায় এবং দিনের বেলা খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে গাছ তলায় ক্লাস করে। ফলে উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লেখপাড়া বিঘœ ঘটছে।
জানা গেছে বকশীগঞ্জসহ প্রতিবেশী ৩টি উপজেলার শিক্ষামান সম্মত বকশীগঞ্জ খাতেমুন মইন মহিলা ডিগ্রী কলেজ নারীদের উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে একমাত্র বিদ্যাপিঠ। প্রায় পৌনে চার একর জমির উপর ১৯৯৪ সালে বকশীগঞ্জ -জামালপুর মহা সড়কের পাশে এক মনোরম পরিবেশে খাতেমুন মইন মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই কলেজ ভালো ফলাফল করে আসছে। বিভিন্ন বিভাগের ৪০ জন শিক্ষক রয়েছে। পড়া লেখার মান ভালো থাকায় ছাত্রীরা এই কলেজের দিকেই ঝুকেঁ পড়ছে। ফলে দিন দিন ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে একাদশ থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত শির্ক্ষাথী রয়েছে ৯ শতাধিক। কলেজের পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যক বছরে জিপিএ -৫ সহ গড়ে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ পাসের হার। দীর্ঘদিন ধরে এ কলেজে নানা সম্যসায় জর্জরিত। এই কলেজে শ্রেণীকক্ষ রয়েছে মাত্র ১০টি। বসার জন্য পর্যাপ্ত বেঞ্চও নেই। ১০টি শ্রেণী কক্ষে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়া লেখার চরম বিঘœ ঘটে। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায় মাটিতে বসে ক্লাস করে। এই কলেজে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী। ৮৫ জন বসবাসের যোগ্য ১৪কক্ষ বিশিষ্ট জরাজীর্ণ একমাত্র ছাত্রীনিবাসে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসবাস করে। ফলে ছাত্রীরা রাতের বেলা পালাক্রমে ঘুমায়। বকশীগঞ্জ খাতেমুন মইন মহিলা কলেজ ও হোষ্টেলের চার পাশে কোন বাউন্ডারী ওয়াল নেই। ফলে অরক্ষিত ছাত্রীনিবাসে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত শিক্ষকরা। এছাড়া কলেজে আবাসন সংকটের কারণে দূর-দূরান্তের ছাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনকি আবাসিক সংকটের অনেক ছাত্রী ভর্তি হতে পাড়ছে না। ফলে এ এলাকার নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে করেজের পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশে নিচে গাছতলায় মাটিতে বসে ক্লাস করে আসছে। আবার রাতে বেলায় আবাসিক ছাত্রীরা ছাত্রী হোষ্টলে গাদাগাদি করে পালাক্রমে রাত যাপন করছে। কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন খান জানান কলেজের সম্যসা নিয়ে যথাযথ স্থানে অবগত করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment