ইতিহাসের রেকর্ড করা কয়েকটি নদীর কথা। যেগুলো তার নিজের প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সেরা দশটি নদীতে স্থান করে নিয়েছে। লিনা নদী সিরিয়ার পূর্বদিক দিয়ে প্রবাহিত এ নদীটি বিশ্বে ১০তম দীর্ঘ নদী। সাগরে পতিত না হওয়া পর্যন্ত ২ হাজার ৭৩৪ মাইল বেগে পানি প্রবাহিত হয় এ নদীটি। উত্তর দিকে প্রবাহিত এ নদীটি আরও দুটি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে ল্যাপটিভ সাগরের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। সর্বোচ্চ প্রবাহের জন্য নদীটিকে চেনে অন্যভাবে। কারণ গ্রীষ্ম এবং বসন্তের সময় নদীর পানি সাধারণের চেয়ে উষ্ণ থাকে ।
২০০৭ সালে এ নদীর পানি বেড়ে যায় এবং ১ হাজারের চেয়ে বেশি ঘরবাড়ি এবং ১২টি শহর পানির নিচে চলে যায়। মিকং নদী চীনে অবস্থিত এ নদীটি বার্মা, থাইল্যান্ড, ইউনান, লাওস, ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বিশ্বের ১১তম এ নদীটি এশিয়ায় ৭ম দীর্ঘ নদী। প্রায় ২ হাজার ৭০৩ মাইল দীর্ঘ এ নদীটি ঋতু পরিবর্তনের কারণে প্রবাহের ভিন্নতা দেখা যায়। ২০০০ সালে প্রবল সে াত ও জোয়ার ভাটার কারণে বন্যা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৯০ জন লোক মারা গিয়েছিল। নদীটি পাড়ি দেয়া চেষ্টা করার সময় দু’জন ব্যক্তি নিযুক্ত হয়েছে। পারানা নদী বিশ্বের ১৪তম দীর্ঘ এ নদীটির অধিকাংশ অংশ ব্রাজিলে অবস্থিত। আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের কিছু অংশে এর বিস্তৃতি রয়েছে। ২ হাজার ৪৮৫ মাইল দীর্ঘ এ নদীটি আরও তিনটি নদীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর দক্ষিণাংশ বিশেষভাবে বন্যার জন্য পরিচিত। নদীর ভাঙনের ফলে অনেক দালান ধ্বংস হয়েছে এবং অনেক লোকজনকে তাদের বাসস্থান অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে হয়েছে। ইনিস নদী বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ নদীটি অ্যাকটিক মহাসাগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ৩ হাজার ৪৪৫ মাইল দীর্ঘ বিশ্বের ৫ম দীর্ঘ নদী, গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বরফ দ্বারা আচ্ছন্ন। তুষার স্রোত পশ্চাৎপসরণ করাই সম্ভবত ৫০০ (কিসি) পানি বাষ্প হয়ে গিয়েছিল। মিসসিপসিপি নদী আমেরিকার তালিকাভুক্ত একমাত্র নদী এবং বৃহত্তম নদী। ২ হাজার ৩৪০ মাইল ভূমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সিনেসোটার ইটাসকা হ্রদ থেকে শুরু হয়ে মেক্সিকোর উপসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর তীরে যারা বসবাস করে তারা প্রায়ই জোয়ারের উচ্চতার জন্য আতংকিত হয়। বন্যা প্রতিরোধের জন্য নদীর তীরে অনেক বাঁধ নির্মিত হয়েছে। ২০০৮ সালে বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ার ফলে অনেক লোকজন তাদের বাড়ি থেকে স্থানান্তরিত হয়েছিল। ব্রহ্মপুত্র নদ ব্রহ্মপুত্র নদটি বাংলাদেশের বাহাদুরাবাদে অবস্থিত। এটি শুরু হয়ে তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের মধ্যে চলে গেছে। হিমালয়ের মধ্য দিয়ে আসাম উপত্যকা হয়ে আবার বাংলাদেশে। ১ হাজার ৮০০ মাইল দীর্ঘ। বেশিরভাগ জলসেচনের জন্য ব্যবহার করা হয়। যখন নদীটির অধিকাংশ ব্যবহার উপযোগী হয় ঠিক তখনই বন্যা বিপর্যয়ের জন্য দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে যায়। এ নদী জোয়ার-ভাটার আশ্রয় কেন্দ্র নামেও পরিচিত। মানে সমুদ্র থেকে আসা জোয়ার-ভাটা নদীটি জলসে াতের গতিপথের বিরুদ্ধে নিয়ে যায়। গবেষকরা একে সত্য সামুদ্রিক তরঙ্গ বলেছেন।
এগুলো ব্রহ্মপুত্র নদকে আরও শক্তিশালী বানিয়েছে। ইয়েনজি নদী এশিয়া ও চীনের বৃহত্তম এ নদীটি বিশ্বেরও ৩য় বৃহত্তম নদী। ৩ হাজার ৯৬৪ মাইল প্রসারিত এবং প্রবাহিত হয় পূর্ব চীনের সাগর সাংগাইয়ের মধ্য দিয়ে। বন্যার জন্য বেশ পরিচিত এ নদী। গবেষকরা মনে করেন, নদীর বন্যার তিনটি ভিন্ন ধরনের ভাগ আছে এবং কোন কোন ঋতুতে শক্তিশালী জোয়ার-ভাটা আসে যা পানিকে বাধা দেয় প¬াবিত হওয়া থেকে। নদীটি অনেক কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। নদীর আশপাশের লোকজন সবসময় আতংকে থাকেন কখন তাদের শহর বন্যায় ভেসে যায়। আমাজান নদী বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম এ নদীটি দক্ষিণ আমিরিকায় অবস্থিত। সবচেয়ে বড় নদী হওয়ার কারণে এটিকে গননা করা যেতে পারে বিশ্বের প্রথম থেকে পঞ্চমের মধ্যে। বলা হয়ে থাকে নদীটি ১৫০ ফিট গভীর। সুতরাং আপনি যদি কখনও আমাজান নদীতে সাঁতার কাটতে চান, তবে আপনাকে ভাবতে হবে। কোনগো নদী এ নদীটি জাইরি নদী হিসেবেও পরিচিত। এটি মধ্য আমেরিকার বৃহত্তম নদী। ২ হাজার ৯২২ মাইল দীর্ঘ এ নদী টানগানিকা হ্রদের কাছে এসে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর মধ্যে ৭৫ মাইল দীর্ঘ গিরিপথ রয়েছে। অরিনোকো নদী দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বৃহত্তম নদী। ১ হাজার ৩৩০ মাইল দীর্ঘ এ নদীটি প্রবাহিত হয়েছে কলোম্বিয়া এবং ভেনিজুয়ালার মধ্য দিয়ে। এটি শুরু হয়েছে ভেলগাগো চালবাদ পর্বত থেকে। নদীটি নৌ চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। শেষে আটলান্টিক মহাসাগরে এসে মিলিত হয়েছে।
সংগ্রহে সরওয়ার জামান রতন
সংগ্রহে সরওয়ার জামান রতন
0 comments:
Post a Comment