বকশীগঞ্জের নীলাক্ষিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নানান অনিয়ম ১৮ জন শিক্ষকের পদ শূন্য






মামলা-পাল্টা মামলা, পাল্টা কমিটি, শিক্ষকের পদ শূন্য, স্কুলের অর্থ আতœসাতসহ নানান অনিয়মের কারনে বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রচীনতম বিদ্যাপীঠ নীলাক্ষিয়া আর জে পাইলট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখায় চরম বিঘœ ঘটছে। ফলে নয় শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তাদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নে প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্টান নীলাক্ষিয়া আর জে পাইলট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। যা ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্টিত হয়। বর্তমানে এখানে সাধারন ও ভোকেশনালে মোট ৯২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পূর্বে থেকে লেখাপড়া মান ভাল ও প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্টান হওয়ায় আশ পাশ এলাকার শিক্ষার্থীরা এই স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১০ সালের ২৩ মার্চ। নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। কোন্দলের কারনে মেয়াদ শেষে স্কুল পরিচালনার জন্য এডহক কমিটি গঠন হয়। সেই এডহক কমিটিও নিয়মিত কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারও একটি এডহক কমিটি গঠিত হয়। শিক্ষক নিয়োগে দরকষাকষির কারনে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি দীর্ঘদিনেও শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি। ফলে প্রধানশিক্ষক, সহ প্রধানশিক্ষক, ইংরেজী শিক্ষক ও গনিত শিক্ষকসহ ১৮ জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। বর্তমান এডহক কমিটি গঠনের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সারাদেশে এডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে। ফলে বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রয়ারি। প্রধানশিক্ষক চলে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মনোনয়নেও ব্যাপক অনিয়ম করা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কমিটি পৃথক পৃথক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়। ফলে সহকারী শিক্ষক আক্রমূল করিম, সহকারী শিক্ষক আলমগীর হাসান ও সিনিয়র শিক্ষক নূরুল ইসলাম নিজেদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাবি করে আসছেন। এই নিয়ে আদালতে একাধিক মামলাও ঝুলেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দাবিদার আক্রমুল করিমের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ১১ লাখ টাকা আতœসাতের দায়ে মামলা হয়েছে। মামলার কারনে এই স্কুলের সকল শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ হয়। এই অবস্থায় বকশীগঞ্জের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ নীলাক্ষিয়া আর জে পাইলট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান খুবই নাজুক। শিক্ষকের অভাবে প্রতিদিন গড়ে ১/২ টা ক্লাস হয়ে থাকে। ফলে নয় শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষত নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই ব্যাপারে এডহক কমিটির সদস্য শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান অল্প সময়ের মধ্যে বর্তমান এডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন করে প্রধানশিক্ষকসহ অন্যান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।


0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More