প্রথম ছবিতেই নজর কেড়ে নিয়েছেন টালিউডের এ রূপসী নায়িকা। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির ছিপছিপে এ তরুণী যদিও নিছক রূপ নয়, পাশাপাশি অভিনয় দক্ষতার দিকেও যথেষ্ট নজর দিতে চান। সুযোগ পেলে ঢালিউড ও বলিউডে অভিনয় করতে চান। যুগান্তরের জন্য কলকাতায় বিশেষ সাক্ষাৎকারে একাধিক অজানা কথা জানিয়েছেন নুসরত।
কথা বলেছেনÑ কৃষ্ণকুমার দাস ওদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ খুব ভালো লাগছে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে ‘শত্র“’ প্রশংসা পাচ্ছে। আর এ ব্যাপারে আমি দারুণভাবে কৃতজ্ঞ পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর কাছে এবং অবশ্যই জিৎদার কাছে। রাজদা আর জিৎদার সাহায্য না পেলে কাজটা করতে পারতাম না আমি। ধন্যবাদ জানাব প্রযোজক অশোক ধানুকা ও হিমাংশু ধানুকাকেও আমার মতো একজন নতুনকে সুযোগ দেয়ার জন্য। বিউটিফুল মাইন্ড টলিউডে অনেকেই বেশ সুন্দরী। আসলে এটা একটা অন্যরকম ব্যাপার। একেক জন একেকভাবে সুন্দর হয়ে ওঠেন। আর শুধু রূপ নয়, নায়িকা হতে গেলে অভিনয়টাও তো করতে জানা চাই! আর চাই সুন্দর একটা মন। আমাকে এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে অভিনয়ের রূপ বা গ্যামার ধরে রাখার পাশাপাশি। ভবানীপুর কলেজ কলকাতার এ কলেজের সাবেক ছাত্র জিৎদা। আর আমিও এখানেই পড়তাম। জিৎদা চিনতেন আমায়। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ওর বিপরীতে ‘শত্র“’ ছবির জন্য একজন নতুন নায়িকা খুঁজছেন জেনে জিৎদা আমাকে অডিশন দিতে বললেন। অডিশন দেয়ার পর এক চান্সেই হয়ে গেলÑ খুব ভালো লেগেছিল সুযোগটা পেয়ে, স্বাভাবিকভাবেই। যেটা প্রথমেই বললাম, রাজদা-জিৎদার সহযোগিতা ছাড়া আমার নায়িকা হওয়া হতো না। শুটিং, দেশে-বিদেশে শুটিং দারুণ এনজয় করেছি। বোলপুর, চেন্নাইÑ তারপর টার্কি। একেবারে নতুন সবকিছুই। টার্কির অভিজ্ঞতাটা তো খুবই মজাদার। ওখানে ইউনিট মেম্বার কম ছিলÑ আমরা যে ক’জন ছিলাম, হৈচৈ করে কাজ করেছি। আর এ হৈচৈয়ের মধ্যমণি ছিলেন জিৎদা। অসাধারণ মানুষ কো-স্টার বা ছবির নায়ক হিসেবে তার গুরুত্ব তো আছেই। মানুষ হিসেবেও জিৎদার তুলনা নেই। প্রথম সুযোগ পাওয়াটাই তো ওর জন্য ঘটল। এছাড়া পুরো শুটিংয়ে সবসময় তিনি আমাকে নানাভাবে গাইড করেছেন। আÍবিশ্বাস জুগিয়েছেন। কখনও মুড অফ থাকলে, চিয়ারআপ করে মুড ঠিক করে দিতেন জিৎদা। এখনও ছবি মুক্তির পরও কোন অ্যাডভাইস দরকার হলে আমি জিৎদারই শরণাপন্ন হই। প্রিয় পরিচালক, নায়ক-নায়িকা সত্যি কথা বলতে কী, এ মুহূর্তে আমার তেমন কোন চয়েজ নেই। এই তো সবে কাজ শুরু করলাম। আমাকে যারা কাজের সুযোগ দেবেন, তাদের সঙ্গে কাজ করব। নায়কের ক্ষেত্রেও আমার মতো নতুনের বিপরীতে যিনি কাজ করতে রাজি হবেন, তাকেই কো-স্টার হিসেবে মেনে নেব। নায়িকাদের মধ্যে বলিউডে ঐশ্বর্য রাই আমার অলটাইম ফেভারিট। কলকাতায় শ্রাবন্তীর অভিনয় আমার ভালো লাগে। আমার এখন শেখার সময়, তাই আলাদা করে সেভাবে কারও নাম উলেখ না করলেও আমি মনে করি সবার কাছেই আমার কিছু না কিছু শেখার আছে। ভালো গল্পে কাজ করতে চাই আমার মনে হয়, একটা ভালো ছবি হওয়ার ক্ষেত্রে গল্পটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি এমন ছবিতেই অভিনয় করতে চাইÑ যার গল্পের সঙ্গে আমি নিজের জীবনকে রিলেট করতে পারি। এমন চরিত্রে কাজ করব যেখানে নিজেকে খুঁজে পাব আমি। অবশ্যই সেই গল্প মানুষ ও সমাজের কথাও বলবে। ঢালিউড বা বলিউডে অভিনয় দেখুন প্রফেশনে যখন এসেছি তখন সব জোনেই কাজ করতে চাই। বলিউড বা ঢালিউড কোথাও কাজ করতে আমার আপত্তি নেই। তবে অবশ্যই গল্প এবং স্ক্রিপ্ট হতে হবে পছন্দের। আর শুনেছি ঢাকায় অনেক ভালো কাজ হয়, সেখানে যথেষ্ট প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী-অভিনেতা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে যদি কোন দিন কাজ করার সুযোগ পাই তবে তো সৌভাগ্য হবে আমার। সে সুযোগ পাব কী? আর বলিউড, সেখানে কাজ করার স্বপ্ন রয়েছেই। দেখা যাক ভাগ্য কোথায় নিয়ে যায়। পরিবারে আমিই প্রথম আমার পরিবারে বাবা-মা ছাড়া আর আছে ছোটবোন। সবাই দারুণ খুশি। পরিবারের চারপাশ-চৌহদ্দির কোথাও কেউ অভিনয় জগতে ছিলেন না কখনও। আমিই প্রথম। সবাই খুব এক্সাইটেড তাই। আমারও ভালো লাগে এ ব্যাপারটা ভেবে। পড়াশোনা এবং ছবির কাজ বিকম ফাইনাল দিলাম এই তো সবে। ছবির প্রেস কনফারেন্সের দিনও পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হল থেকেই সোজা প্রেস কনফারেন্সে যাই। নিয়ম অনুযায়ী যতটুকু সময় হলে না থাকলে নয়, ততটুকুই ছিলাম। জানি না রেজাল্ট কী হবে। তখন তো এই পরীক্ষা মানে ‘শত্র“’ নিয়েই বেশি ভাবছি!! ইচ্ছা আছে ছবির কাজের সঙ্গে পড়াশোনা চালানোর। নির্ভর করবে ভবিষ্যতে কতটা সময় পাব তার ওপরই।
0 comments:
Post a Comment