স্পেনের নুড বীচে সবাইকে বিবস্ত্র অবস্থায় স্নান করতে হয়, কাপড় পরলে বরং জরিমানা



শিলা কি জাওয়ানি গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচেই ক্যাটরিনা কাইফের আবেদনময়তার তেজ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ বলিউড সুন্দরী এই নিয়ে তিনবার বিশ্বের সেরা যৌন আবেদনময়ী নারীর স্বীকৃতি পেলেন। পুরুষের পত্রিকা বলে খ্যাত এফএইচএম-এর জরিপে তিনি শ্রেষ্ঠ যৌনাবেদনময়ী নারী নির্বাচিত হয়েছেন। 
শুধু রূপের বিচারেই নয়, বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ক্যাটরিনা। তার ওপর 'শিলা, শিলা কি জাওয়ানি' গানের জনপ্রিয়তা এবং ওই গানে ক্যাটরিনার উদ্দাম নাচ তার যৌন আবেদনকে পৌঁছে দিয়েছে একেবারে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ক্যাটরিনার নিজের কথায়, যৌন আবেদন কেবল সুন্দর মুখশ্রী ও শারীরিক গড়ন দিয়েই হয় না, বরং একজন আত্মবিশ্বাসী নারীই হতে পারে সবচেয়ে বেশি আবেদনময়ী।
এফএইচএমএর এই সেরা যৌন আবেদনময়ী নারী বাছাই করার প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় অনলাইন এবং এসএমএস ভোটিংয়ের মাধ্যমে। এতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ অংশ নেয়। আর 'গুগল-সার্চে' একেবারে শীর্ষে থাকা ক্যাটরিনা খুব সহজেই জিতে নেন এ খেতাব। গত ১৭ বছরে ক্যাটরিনাই একমাত্র ভারতীয় নারী হিসেবে তিনবার এই পুরস্কার পেলেন। এর আগে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে এফএইচএমএর নির্বাচনে শ্রেষ্ঠ যৌনাবেদনময়ী নারী বিবেচিত হন ক্যাটরিনা। এ বছর তার পরেই ছিলেন আরেক বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন।
2
বলিউডি ছবিতে শিল্পীদের বিকিনি পরা দৃশ্য দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু সেন্সর বোর্ড বলিউডের দৌড় ওই পর্যন্তই থামিয়ে দিয়েছে। এর বেশি গেলেই সেন্সর বোর্ডের কাটিংয়ের কবলে পড়ে ওই ছবিকে নাস্তানুবাদ হতে হবে। আর বিষয়টা মাথায় রেখেই অতি সতর্কতার সঙ্গে পরিচালকদের কাজ করতে হয়। সেন্সর বোর্ডের স্ক্যানিং এড়াতে তাই পরিচালকদের রীতিমতো ঘুম হারাম হয়ে যায়। এই চিন্তা মাথায় নিয়েই স্পেনের এক নুড বীচে শুটিং করতে গিয়ে ভালো শিক্ষাই পেলেন হৃত্ত্বিক-ক্যাটের জিন্দেগি না মিলেগি দোবরা ছবির পরিচালক জয়া আখতার। শুটিং শুরুর মাস ছয়েক আগে স্পেনের কোস্টা ব্রাভা বীচে লোকেশানও দেখে আসেন তিনি। বীচের মনোরম পরিবেশ আর ফাঁকা বীচ দেখে বেশ মুগ্ধই হয়েছিলেন জয়া আখতার।
সবকিছু ঠিকঠাক করে ফুরফুরে মেজাজেই পুরো ইউনিট নিয়ে হাজির হলেন স্পেনের কোস্টা ব্রাভা বীচে। জয়া আখতার হৃত্ত্বিক রোশন, ক্যাটরিনা কাইফ, ফারহান আখতার ও অভয় দেওলকে জানিয়েও দিলেন এ বীচে টানা দুইদিন শুটিংয়ের কথা। ক্যাটরিনার ছিল এটা প্রাথমিক শট। ক্যামেরা অন। শুটিং শুরু । এ সময় ঘটলো বিপদটা। হৈ হৈ করে বীচে ঢুকে পড়লো সমুদ্র স্নানকারীদের দল। বীচে স্নানকারীরা আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের দেখে ছবির পুরো ইউনিটের চোখ কপালে উঠে গেছে। কারণ স্নানকারীদের গায়ে বস্ত্রতো দূরের কথা একটা সুতাও নেই। পরিস্থিতি দেখেতো পরিচালক জয়া আখতার রীতিমতো ভড়কে গেলেন।স্পেনের ওই নুড বীচে সবাইকে বিবস্ত্র অবস্থায় স্নান করতে হয়। কাপড় পরলে বরং জরিমানা। এ অদ্ভুত নিয়ম হয়তো পরিচালক জয়া আখতার জানতেন। লোকেশান দেখার সময় বীচ ফাঁকা দেখে তিনি নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন যে, কোনো বিপদ ঘটবে না। কিন্তু ভ্যাকেশান থাকায় বীচে এই বিবস্ত্র স্নানকারীদের হঠা আগমনে জয়া আখতারের ভড়কে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। জিন্দেগি না মিলেগি দোবরা ছবির এক ইউনিট সদস্য জানান, সাদা বালিতে বীচ চিকচিক করছিল। আর পরিচালক এটাই চেয়েছিলেন ফ্রেমে ধারণ করতে। কিন্তু লোকেশানে পৌঁছে শুটিং শুরু করতে গিয়ে পুরো ইউনিট বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়।
পরিচালক জয়া আখতার বলেন, পরিস্থিতি দেখে আমি ইউনিটের সবাইকে সতর্ক করে দিলাম যাতে অন্য কেউ ফ্রেমে ঢুকে না পড়ে। সে কারণে ইউনিটের সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্য দিয়ে কাজ করছিল।
অবস্থা দেখে ইউনিটের সবার মাথায় গণ্ডগোল লেগে যায়। কোথায় ফ্রেম, ফ্রেমে নায়ক-নায়িকা ছাড়া অন্য কেউ আছে কি না সেটা দেখার তাদের যেন ফুরসত নেই। তবে ১২ ঘণ্টা শুটিং করার পরে তারা এ পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে যান বলে জানান এক ইউনিট সদস্য।

0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More