ই-বুক রিডার : এলজি কোম্পানি ২০১২ সালে বাজারে আনছে সোলার ই-বুক রিডার। ডিভাইসটি সম্পর্কে তাদের দেয়া ধারণা অনুযায়ী এটি মাত্র ১০ সেমি., গড়নে হুবহু যেন একটি ডায়েরি। খুললে বামপাশে সূর্যালোক শোষণের ব্যাটারি ও ডানপাশে রিডিং প্যানেল। মূল্য অনুকূলে থাকলে বাজারের অন্যান্য ই-বুক রিডারের তুলনায় এটি জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করা যায়।
সেলফোন : স্যামসাং ইন্ডিয়া বাজারজাত করছে সোলার সেলফোন। ফোনটির নাম দেয়া হয়েছে ‘সোলার গুরু’। সেটের পেছনের পুরো অংশে থাকবে ফটোভোল্টায়িক সেল, যা সূর্য থেকে আলো নিয়ে চার্জ হবে। যদিও এর পূর্ণ চার্জের জন্য সময় লাগবে ৪০ ঘণ্টা। এক ঘণ্টা চার্জ দিলে কথা বলা যাবে ১০ মিনিট। যে এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না সেসব এলাকা ও গ্রামের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে এ ফোনটি। ভারতে সেটটির মূল্য হবে ২৭৯৯ রুপি বা ৫৬ মার্কিন ডলার।
কী-বোর্ড : ওয়্যারলেস সোলার কী-বোর্ড কে৭৫০ কী-বোর্ডটি তৈরি করেছে লজিটেক। এর উপরের দু’পাশে রয়েছে দুটি সোলার প্যানেল, যা দিয়ে সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ সংগৃহীত হয়। এর পুরুত্ব ০.৩ ইঞ্চি ও ২.৪ গিগাহার্টজ গতিসম্পন্ন ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটিতে কাজ করে। এর ব্যাটারির চার্জ কতটুকু অবশিষ্ট আছে তা দেখা ও সে অনুযায়ী চার্জ দেয়া যায়।
মাউস : ‘মিও’ নামের সোলার মাউস তৈরি করেছে নেদারল্যান্ডের অর্গানাইজেশন ফর সায়েন্টিফিক রিসার্স। তাদের গবেষণাগারে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এটি নিয়ে গবেষণা চলছিল। এ ওয়্যারলেস মাউসগুলো খুব কম বিদ্যুৎ খরচ করে। মাউসের উপরের সম্পূর্ণ অংশটুকুই সোলার সেল। গবেষকদের দাবি, এটির সুফল বাজারজাতকরণ হলে কয়েক কোটি ব্যাটারি বানানোর খরচ বেঁচে যাবে।
ল্যাপটপ : নিকোলা নেজেভিক কোম্পানি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ল্যাপটপের ডিজাইন করেছে। বিল্ট-ইন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএসসহ স্যাটেলাইট টেলিফোন অ্যাকসেস থাকবে এতে। ছোট-খাটো ব্রিফকেসেরে মতো এ ল্যাপটপটি সোলার প্যানেলসহ একটু ভারিই হবে। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় ব্যবহার, চার্জের ঝামেলাবিহীন ও দীর্ঘক্ষণ ব্যাকআপের দুশ্চিন্তা দূর করবে এ সোলার ল্যাপটপ।
ডেস্কটপ কম্পিউটার : এলিউটিয়া ইওয়ান নামে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কম্পিউটারটি বানিয়েছিল এলিউটিয়া কোম্পানি। সেটি সৌরশক্তিতে চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। এটি মাত্র ১৮ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে। লিনাক্স পাটফর্মের এ কম্পিউটারটি পাপ্পি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমচালিত। পাওয়ার সেভিং মোডে এটি মাত্র ৮ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। এর মূল্য ৩৬০ থেকে ৭৮৫ ডলার।
টেলিভিশন : জাপানি কোম্পানি শার্প তৈরি করেছে ৫২ ইঞ্চির এলসিডি টিভি, যা সৌরশক্তিতে চলবে। সিয়েটিক জাপান ট্রেড-শোতে এটি প্রদর্শন করা হয়েছে। ট্রান্সপারেন্ট প্যানেলে তৈরি এ টিভিগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। স্যামসাং ও বেশ কয়েকটি কোম্পানি সোলার টিভি তৈরির কাজে হাত দিয়েছে।
মিউজিক পেয়ার : সোউলরা কোম্পানি আইপডের জন্য ডেভেলপ করেছে সৌরচালিত মিউজিক পেয়ার। বিচপার্টির উপযোগী এ মিউজিক সিস্টেম রিচার্জেবল ও আইপড ও আইফোনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তৈরি। সিস্টেমটির ভেতর আইপড ও আইফোন স্থাপনের জায়গা রাখা হয়েছে যার দুইপাশে রয়েছে ৮ ওয়াটআরএমএসের স্পিকার। একবার চার্জে ৭ ঘণ্টা গান শোনা যাবে এতে। মূল্য ১৫০-২০০ ডলার।
এমপি থ্রি পেয়ার : তাইওয়ানের কোম্পানি মাইক্রোটার ইন্টারন্যাশনাল মেগা পেয়ার ৫৪০ এমপি থ্রির আদলে সোলার এমপি থ্রি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। এর পেছনের দিকে থাকবে সোলার সেল। ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে ৩ ঘণ্টা। অন্যান্য এমপি থ্রি পেয়ারের মতো সব ফরমেটের গান শোনা যাবে এতে।
ট্যাবলেট পিসি : সোলার আই ¯েট নামে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ট্যাবলেট পিসি তৈরির কাজে হাত দিয়েছে সিঙ্গাপুরের নানইয়াং সায়েন্টিফিক ইউনিভার্সিটি। হাউস্টনের ফুড গ্রেইন ইউনিভার্সিটি ও এশিয়ান নেশন নন-প্রফিটমেকিং কনসোর্টিয়াম ভিলেজেস ফর অ্যানহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড ইরুডিমন ফাউন্ডেশন। অনগ্রসর অঞ্চলে ট্যাবলেটের চাহিদা বাড়তেই এ ট্যাবলেট তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা।
বিমান : সুইজারল্যান্ডে সফলভাবে ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়েছিল ২০৭ ফুট লম্বা ডানার সোলার বিমান। এর আগেও সৌরচালিত বিমান উড্ডয়ন করেছে কোন কোন দেশে। কিন্তু এটি ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সোলার বিমানের আকাশযাত্রা।
গ্রামো সোলার স্পিকার : পুরনো দিনের গ্রামোফোনের আদলে ছোট করে স্পিকার ডিজাইন করেছে ফিনল্যান্ডের পেক্কা সোলাকানলেন নামক প্রতিষ্ঠান। এর পুরোটাই সোলার সেলে আবৃত। এটিকে ভাঁজ করে পকেটে রাখা যায়। তিনটি ভিন্ন লেয়ারে বিভক্ত সোলার প্যানেলযুক্ত স্পিকারটির ভেতরের দিকে রয়েছে মিউজিক পেয়ার। শ্রাবণী আজাদ
0 comments:
Post a Comment