শ্রেণী কক্ষ , শিক্ষক ,আসবাবপত্র. যোগাযোগ , দারিদ্রতা ও পযার্প্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন না থাকায় জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৪৯ ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪৯টি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৮টি। এর মধ্যে পড়া লেখার মান অনুযায়ী এ গ্রেডের বিদ্যালয় রয়েছে ১৫টি। বি গ্রেডের ৩৪ টি ও সি গ্রেডের বিদ্যালয় রয়েছে ৪৯টি। মোট শিক্ষার্থী ৩২৬৮৬ জন। এ বছর ঝরে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী। বর্তমানে মোট ৮১২৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধা ভোগ করে আসছে। শিক্ষার মান ভালো না থাকায় ১০ টি প্রাইমারী স্কুলে ২ থেকে ৪ বছর যাবৎ উপবৃত্তির সুযোগ সুবিধা বন্ধ রয়েছে। ফলে সহস্রাধিক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধা ভোগ করতে পারছেনা। তিন বছর যাবত এই উপজেলায় শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। গুরুত্ব পুর্ন এই পদ দীর্ঘ দিন যাবত শূন্য থাকায় শিক্ষা ব্যাবস্থায় চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত প্রধান শিক্ষকসহ ১২ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ১৬ টি স্কুলে মাত্র ৩ জন করে শিক্ষক রয়েছে। ঐ ১৬ টি স্কুলে অতিরিক্ত ১ জন করে শিক্ষক নিয়োগের ফাইল দীর্ঘ দিন যাবত পড়ে আছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সীমারপাড় সরকারি প্রাইমারি ও নিলাক্ষিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা বেঞ্চের অভাবে মাটিতে বসে ক্লাস করে থাকে। ১৯৯ টি গ্রামের মধ্যে ৯৬ টি গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ফলে বিদ্যালয় বিহীন গ্রামের স্কুল গমন উপযোগী অধিকাংশ শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি স্থানীয় এমপি তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী এম এ সাত্তার বকশীগঞ্জের শিক্ষা ব্যাবস্থার উপর আলোকপাত করতে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে তথ্যমন্ত্রী নিজে পর্যাক্রমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ঘোষনা দিয়েছেন। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুর রফিক জানান, মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় তদারকির কাজে বিঘœ ঘটে।
সরওযার জামান রতন
0 comments:
Post a Comment