ভুলতে পারেন না জেমিমার কথা ইমরান খান




পকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট তারকা ও বর্তমান তেহরিক - ই- ইনসাফ পার্টির নেতা ইমরান খানের জীবনী নিয়ে ফ্রন্ক হুজার একটি বই লিখেছেন। ইমরান ভার্সাস ইমরান আনটোন্ড স্টেরি শিরোনামের বইটিতে তিনি তার জীবনের অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন। এসব তথ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে সাবেক ক্রিকেট তারকা তার ব্রিটিশ স্ত্রী জেমিমাকে এখনো ভুলতে পারছেন না। জেমিমার সঙ্গে তার বিচ্ছেদের ¯তৃতি এখনো তাকে দুঃস্বপ্নের মত তাড়া করে ফিরে। ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার গোল্ডস্মীথের মেয়ে জেমিমার সঙ্গে ৯ বছর তিনি ঘর সংসার করেছেন। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে এখন ইমরান ও জেমিমার মধ্যে কোন সর্ম্পক নেই। ২০০৪ সালের জুনে তাদের সর্ম্পক বিছিন্নœ হয়ে গেছে। সর্ম্পক বিছিন্ন করার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। এমন ইরচ্ছও ছিল না। কিন্তু বিধির বিধান না যায় খন্ডন। রটনা হযে যায় যে জেমিমা হলেন সালমান রুশদীর ছাত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে জেমিমা ইহুদি হওয়ায় এ প্রচারণা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠে। অপপ্রচার শুধু জেমিমার জীবন যে ইমরানের জীবনেও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এমন কথাও উচ্চারিত হয়েছে যে, তিনি হলেন ইহুদিদের এজেন্ট। অপপ্রচার বন্ধে অবশেষে উভয়ে বিয়ে বিচ্ছেদের সিন্ধান্ত নেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বৈবাহিক সর্ম্পক ছিন্ন হলেও জেমিমার স্মৃতি এখনো ইমরানকে তাড়া করে। হুজার বইটি লেখার সময় জেমিমার কাছ থেকে ইমরানের জীবনের বিভিন্ন দিক চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যেকার সর্ম্পক শুরু থেকে সবকিছু জানতে চেয়েছেন। জেমিমা জবাব দিতে কার্পণ্য করেননি। প্রথমেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ইমরানের জীবনের এমন কিছু কথা যা পৃথিবীর কেউ জানে না। এ প্রশ্নের জবাবে জেমিমা বলেন ইমরান অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির। সে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশী এড়িয়ে চলে। সে হলো তার চার বোনের নির্ভরশীল ভাই। ইমরান মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে স্বস্তি বোধ করে না। সে কেবল তাদের চোখের দিকে চেয়ে থাকে। সে সাধুর মতো জীবন-যাপন করে। কাবলি পোশাক পরে। দিনের পর দিন সে এ পোশাক থাকে। ইমরান কখনো টাকা বহন করার জন্য মানিব্যাগ ব্যবহার করে না। ইসলাবাদের অদূরে বান্নিগালা পাহাড়ের চূড়ায় অলস সময়ে বসে ইমরান দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। ফ্রন্ক হুজারকে তিনি বলেছেন, জেম আমার দু"ছেলের মা। সে চিরদিন আমার সব অন্তর জুড়ে অবস্থান করবে। ইমরান দু"ছেলে সোলায়মান ও কাসেমকে অত্যন্ত আদর করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি দু"ছেলেকে কাঁেধ তুলে নিয়ে নিকটবর্তী বাজারে যান।

0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More