আজ ৩১ জুলাই বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুরে ৬৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দিবস



আজ ৩১ জুলাই। ১১নং সেক্টরের জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে ৬৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার শহীদ দিবস। ৭১ সালের এই দিনে হানাদারদের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনসহ ৬৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর ছিল ১১নং সেক্টর। ৮ দফা মুখোমুখি যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা এই সেক্টরেই সর্ব প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। এই সেক্টরেই ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন শহীদ এবং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের আহত হয়েছেন। ৩১ জুলাই ধানুয়া কামালপর রনাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের মধ্যে ঐতিহাসিক যুদ্ধ চলছে। রাতে মেজর মঈন , ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিন, ক্যাপ্টেন হাফিজ এবং লেঃ আব্দুল মান্নান নেতৃত্বে পাক বাহিনীর ব্যাংকারে তিন দিক থেকে আক্রমন করা হয়। সাহসী যোদ্ধা ক্যাপ্টেন সাল্হা উদ্দিন পাক সেনা ক্যাম্পে একাই হ্যান্ড গ্রেনেড চার্জ করেন। ফলে ৩২ জন পাকসেনা খতম হয়। শত্র“ পক্ষের এলএমজিটা তখন আরও গর্জে উঠছে। তার পরেও থেমে যায়নি সালাহউদ্দিন। সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বীর দর্পে অস্্র হাতে নিয়ে পাকসেনা ক্যাম্পের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। পাকসেনা ক্যাম্পের কাছাকাছি ধানুয়া কামালপুর গোডাউনের পার্শে অবস্থান করছিলেন ক্যাপটেন সালাউদ্দিন মমতাজ। সালাহউদ্দিনের অবস্থান বুঝেই পাক হানানদার বাহিনী ব্রাশ ফায়ার করে। সেই ব্রাশ ফায়ারেই ঘটনাস্থলেই শহীদ হন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন। সেই দিনে ঐতিহাসিক সেই যুদ্ধে নায়েক আব্দুস সালাম, লে. নায়েক গোলাম মোস্তফা ও লে. নায়েক সিরাজুল ইসলাম, সিপাহী মোহাম্মদ আলী, মতিউর রহমান, রহিত উল্লাহ, আমিনূল ইসলাম, আব্দুল লতিফ লতিফ, রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, সদর উদ্দিন, আব্দুস সালাম, সাহেব আলী, ফজলুল হক, জামাল হোসেন, আব্দুস সামাদ, আবু ইসলাম, সৈয়দ ফুলূ মিয়া, সাতাবুদ্দিন, হায়াত আলী, আব্দুল কুদ্দুস, রবিউল আলম, শাহজাহান ্আলী, মনসুর আলী, আনোয়ার হোসেন, আব্দুস সোবহান ও ৩৭ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ মোট ৬৬ জন বীর মুক্তি যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। এই যুদ্ধে শুত্র“ পক্ষের ৭০ জন সৈনিক নিহত হয়।


0 comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More