মাকে ফিরিয়ে দিল ফেসবুক





লন্ডনের লিভিংস্টোনের ওয়েস্ট লোথিয়ানের ২২ বছর বয়স্ক ড্যানিয়েলের জšে§র পরই তার মা তাকে দত্তক দিয়ে দেন। যে কারণে তার প্রকৃত জš§দাতা মায়ের মুখচ্ছবি দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলেন তিনি। কিন্তু তার ব্যাকুলতাকে পাশ কাটিয়ে চলেছে বাস্তবতা। আর পক্ষান্তরে ড্যানিয়েল ছিলেন অসহায়। এত বড় শহর লন্ডনের পথে পথে ঘুরে কি সে তার হারানো মাকে খুঁজে পাবে? হঠাৎ তার মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেল। সে চেস্টারফিল্ডের নর্থ ডার্বিশায়ার রয়্যাল হাসপাতালে গিয়ে উপস্থিত হন, যেখানে তিনি জš§গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে এক নার্স তার জšে§র সময়ের ঘটনা মনে করতে পেরে তাকে বলেন, তোমার জšে§র সময় তোমার মায়ের বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। উপরন্তু তখন তার কোলে ছিল আরেকটি বাচ্চা। যে কারণে সে তোমার দিকে নজর দিতে পারবে না বিধায় তোমাকে দত্তক দিয়েছিল। ঘটনাটি ব্যতিক্রম বলেই হয়তো তা এত বছর পরেও মনে করতে পারলাম। ড্যানিয়েল যখন জানতে পারলেন যে তার মা নিরুপায় হয়ে তাকে দত্তক দিয়েছিলেন তখন তার প্রতি ড্যানিয়েলের মায়া আরও বেড়ে যায়। শেষমেশ তিনি নিতান্তই অসহায় হয়ে তার জšে§র পুরো ঘটনাটি লিখেন তার ফেসবুক স্টাটাসে। লেখাটির শেষ দু’টো লাইন ছিল এরকমÑ ‘আমার মনে হয় আপনিই আমার মা এবং আপনি যদি আমার এই মানবিক আহ্বানে সাড়া দেন, তবে আমি দারুণ অবাক হব।’
এ ঘটনার তিন দিন পর ড্যানিয়েল তার ইনবক্সে একটি ম্যাসেজ পান। ম্যাসেজটি পড়ে তো তার চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া। এ যে স্বয়ং তার হারানো মায়ের বার্তা, যাতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কলিজার টুকরো, আমি তোমার স্টাটাসটি পড়েছি। আমি অনবরত কাঁদছি।’ এই লেখার নিচেই তিনি ড্যানিয়েলকে তার বাসার ঠিকানা জুড়ে দিয়েছেন। এখনও সেই চেস্টারফিল্ডেই আছেন তার ৪০ বছর বয়সী মা ক্যাথেরিন গাউন্ট। ড্যানিয়েলের বাবার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে তিনি অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন। এই ঘরে তার তিন ছেলে-মেয়ে। ড্যানিয়েল চেস্টারফিল্ডের ওই বাসায় পৌঁছাতেই চরম আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মা-ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। এরপর ক্যাথেরিন ড্যানিয়েলকে পরিচয় করিয়ে দেন তার বৈমাত্রেয় ভাই-বোনের সঙ্গে। শেষমেশ ড্যানিয়েল ফেসবুককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আমার জীবনে ফেসবুকের বদৌলতে আমি যা ফিরে পেয়েছি তা আর কেউ আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি। আমি এ জন্য চিরদিন তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। আর বন্ধুদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, যারা আমার ফেসবুকের ওই স্টাটাস পড়ে হেসেছিলে তারা আজ জেনে নাও আমি সফল হয়েছি। যে কোন বিষয়ে শেষ চেষ্টাটা করতে শেখ। তা না হলে জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হবে।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল

2 comments:

very nice. Thanks for collect this memorable news.

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More