ভালবাসা অন্ধ’থ এমন প্রবচন সবার জানা। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কথাটা সত্যি। এ সংক্রান্ত র্দীঘ এক গবেষনায় দেখা গেছে,ভালবাসা, প্রেম বা প্রণয়,আমরা দুটি মানবমনের গভীর ও আবেগঘন সম্পর্ককে যেভাবেই উল্লেখ করি না কেন মূল বিষয়টা হচ্ছে সর্ম্পক স্থাপন। অর্থাৎ একে অন্যকে চেনা বা জানার সুযোগ সৃষ্টি না হলে দুটি মনের মধ্যে রসায়ন সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই প্রণয় বা ভালবাসার প্রথম ধাপ হলো ’সম্পর্ক। এরপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা থেকে গভীর ও অটুক বন্ধনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। আর এ ধরনেন সম্পর্কের শেষ পরিণত হয় প্রেম। গবেষকরা বলছেন একজন অপরিচিত ব্যক্তি বা নারীর সঙ্গে আকস্মিক এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর সুন্দরের অভিধা হলো যার চোখ যাকে ভাল লাগে সেই হলো তিলোত্তমা। নেদারল্যান্ডসের গোরিংগেন বিশ্ববিদ্যালয় ৭০ তরুণ-তরুণীর ওপর গবেষনা চালাতে গিয়ে দেখা গেছে দীর্ঘ সম্পর্ক থেকে যে ভাল লাগা তা অটুক প্রেমের শৃঙ্খলে বাধাঁ পড়েছে। সবাই মেলামেশা থেকে সহপাটি সহকর্মী বা পরিচিত গন্ডির মধ্যে আপনার প্রিয়জনকে খুঁেজ পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাদের কাছে অপরিচিতিজনদের ছবি দেখানো হয়েছে এক বাক্যে তারা সেসব ছবি নাকচ করেছেন। যাদের নিয়ে এ গবেষনা চালোনো হয় তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৭ বছরের মধ্যে এবং তাদের কারও সম্পর্ক তিন মাস থেকে নয় বছর পর্যন্ত। সৌন্দর্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তাদের স্মৃতি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। যার স্মৃতিতে যার মুখ উজ্জ্বল তাকে সবচেয়ে আপনজন মনে হয়েছে। গবেষকরা পরিসংহারে বলেন প্রেমের সম্পর্কটা এক ধরনের মোহচ্ছন্নতা বা বিভ্রম। যার যত গভীর মায়াবন্ধনে ধরে পড়ছেন তাদের দাম্পত্য জীবন ততো সুখের। দ্য মেইল
0 comments:
Post a Comment